একটি ঝগড়ামূলক রচনা। শোন মেয়ে!
২৮-অক্টো-২০২০ | Dhaka Deskনার্গিস জুহি, বগুড়া : অনেকদিন পর লিখতে ইচ্ছা করলো, না লিখলেও চলতো,শেষ পর্যন্ত মনে হলো লিখেই ফেলি।মনে আছে তোর, আগে আমরালেখালেখি করতাম! কি ভালো ছিল তাই না সেসব দিন! শোন শোন, তুই তো পাজি মেয়ে। ওসব আবার তুলে রেখেছিস নাকি? বের টের করিস না।বিশাল লজ্জায় পড়তে হবে, কিসবলিখতাম তখন! বাচ্চাকালের ছবি তো বের করে হুলুস্থূল করলি। এবার শোন, কালকের ঘোরাঘুরিটা অনেক ভালো ছিল।বেশ লেগেছে কিন্তু ! রিকশাভাড়া দিতে দিলি না।আর তোর ভাষাটাওছিল মারডালা, “আচ্ছা শেয়ারওয়ালা আসছে “…. কিন্তু এই দুই ঘন্টা রিকশা ভ্রমণে তুই একঘণ্টা চল্লিশ মিনিট কথা বললি।আর আমাকে বলতে দিলি দশ পনেরো মিনিট। এটাঠিক হলো? এত কথা বলতে শিখলি কবে রে? সে বলে আমাকে বলতে দিবি না….! আচ্ছামতো রিকশাওয়ালাও তাল দিয়েচলছে। বালিকা নৃত্য শুরু করলে বুঝতি।এরপর থেকে আমাকে বলতে দিবি। শোন,গাছ দেখতে যাবো।পাকুড় গাছ। আমি চিনতাম, এখন মনে হয় ভুলেটুলে গেছি।খুঁজে না পেলে ঘুরে ফিরে চলে আসবো।সেদিন যদি তুই এমন বকবকানি শুরু করিস তাহলে তোকে রিকশার সাথে বেঁধে রাখবো।মুখও বাঁধবো।তখন দেখিস!তুই যতবড়গুণ্ডাই হোস না কেন,আমিও কিন্তু গুণ্ডামি জানি। আর শোন,আমি আমার মেয়েকে বলেছি।তুই কিন্তু একা না, তোর দুটা ভাই আছে।অনাবিল,আভাষ তোকে দেখে রাখবে, তুইওওদের দেখে রাখবি।তোর ছেলেদের বলে দিস,টিউ ওদের বোন কিন্তু। মেয়ের যে ভাইবোন হলো না, আমি ভাবতাম একা থাকবে? দেখছি কি,নিজের লোকজন পর হয়ে যায়। তবে বিশ্বাস, এদের তিনজনের ভাইবোনের সম্পর্ক অটুট থাক।তোর বরের প্রতিওকৃতজ্ঞতা। কী সুন্দর করে বলল,’আমার মেয়ে’। বলিস মেয়েকে দেখে রাখে যেন।সম্পত্তির ভাগ লাগবে না, আদরের ভাগে কমতিযেন না হয়। কবে যাবু গাছ দেখতে?শিগগিরই বল।আমার শরীরটা এমন বেরসিক ঠেকে, আসি আজ, টাটা…. নার্গিস জুহি Senior Teacher Chemistry, Bogra Cantonment Public School and […]
Read More